যেসব গুণাবলী মানুষকে সফল হতে সাহায্য করে। (পর্ব -১)



১.আখাংকাঃ সাফল্যের চালিকাশক্তি আসে সিদ্ধলাভের জলন্ত আকাঙ্ক্ষা থেকে।  নেপোলিয়নহিল লিখেছেন মানুষের মন যা কল্পনা করে এবং বিশ্বাস করে মানুষ তা অর্জন করতে পারে এক তরুণ সক্রেটিস কে জিজ্ঞাসা করেছিল সাফল্য লাভের রহস্য কি সংস্থাকে পরেরদিন নদীর ধারে দেখা করতে বললেন দেখা হবার পর দুজনে জলের দিকে এগোতে থাকেন এবং এক গলা জলে গেলেন গিয়ে দাঁড়ালেন হঠাৎ কিছু না বলে ছেলেটি ঘাট ধরে জলের মধ্যে ডুবিয়ে দিলেন ছেলেটি জলের উপরে মাথা তোলবার চেষ্টা করেছে তাকে শক্ত হাতে জলের নিচে ডুবিয়ে রাখলেন বাতাসের অভাবে নীল হয়ে গেল ছেলেটির মুখ সক্রেটিস তখন তার মাথাটা জলের উপর তুললেন ছেলেটিকে হাঁসফাঁস করে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিল সক্রেটিস চেষ্টা করলেন যতক্ষণ জলের নিচে ছিল ততক্ষণ তুমি সবচেয়ে আকুলভাবে কী চাচ্ছিলে ছেলেটি জবাব দিল বাতা শোস বললেন এই সাফল্য তুমি যেভাবে বাতাস ছিলে সেভাবে যখন সাফল্য চাইবে তখন তুমি সফলতা পাবে সাফল্যের রহস্য নেই কোন কাজ সম্পন্ন করতে গেলে শুরু করতে গেলে একটি জ্বলন্ত আকাংখা দিয়ে অল্প আগুন যেমন অনেক উত্তর দিতে পারে না তেমনি দুর্বল ইচ্ছাশক্তি কোন মহৎ সিদ্ধিলাভ করতে পারে না।

অঙ্গীকার কোন কাজ নিষ্পত্তি করার দৃঢ় অঙ্গীকার করতে হয় দুটি স্তরের উপর সেতুটি হলো সততা এবং অভিজ্ঞতা একজন ম্যানেজারদের কর্মচারীদের এই কথাটি বেশ সুন্দর করে বলেছিলেন যদি তোমার আর্থিক ক্ষতি হয় তবুও তোমার অঙ্গীকারের দিন থাকার নামই সততা এবং অভিজ্ঞতা হচ্ছে যেখানে ক্ষতি হবে সেরকম বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ না হওয়া সাফল্য ও সমৃদ্ধি আমাদের চিন্তা ও সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কিকি চিন্তা আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করবে সাফল্য কোন ব্যাপার নয় এটি আমাদের মনোভাবের ফলশ্রুতিখেলার জয় লাভের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ আবশ্যক যে তার জন্য খেলা এবং না হারার জন্য খেলা এ দুয়ের মধ্যে একটি বিরাট পার্থক্য আছে যখন আমরা যে তার জন্য খেলি তখন আমরা বিশেষ উৎসাহ এবং অঙ্গীকার নিয়ে খেলি কিন্তু যখন না হারার জন্য খেলি তখন যে তার উৎস অঙ্গীকার থাকে না বললে অপেক্ষিত দুর্বল মনোভাব নিয়ে খেলে থাকি যখন আমরা নাহার জন্য খেলি তখন আমরা সাফল্যকে এগিয়ে যাবার জন্য খেলি আমরা সকলেই জিততে চাই কিন্তু অনেকে জেতার জন্য যে মূল্য দিতে হয় তা দিতে প্রস্তুত থাকে না যে তার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ জেতার জন্য খেলার মধ্যে থাকে অনুপ্রেরণা আর না হারার জন্য খেলার মধ্যে থাকে বেপরোয়াভাব৷কোন আদর্শ অবস্থা বলে কিছু নেই কখনো থাকবেও না কোন জায়গায় পৌঁছাতে হলে আমরা কেবল লক্ষ্যহীনভাবে চললেই হবে না আবার নোঙ্গরে বাধা থাকলেও চলবে না কখনো অনুকূলে বাতাসে পালতুলে চলতে হবে কখনো বাতাসে বিপরীতে চলতে হবে কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা মাফিক যাত্রা করতেই হবে কোন প্রশিক্ষণও এতলেটিক রেখে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় খেলাধুলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে খারাপ দলের মধ্যে পার্থক্য কত কতটা তাহলে জানা যাবে যে তাদের শারীরিক গঠন ক্ষমতা এবং দক্ষতা খুব বেশি পার্থক্য নেই সবচেয়ে দেখা যায় দুই দলের আবেগের ক্ষেত্রে আছে একান্ত ভাবে নিষিদ্ধ করার অনুপ্রেরণা যার ফলে তারা অতিরিক্ত সক্ষম। 

প্রতিযোগিতা যত কঠিন যত বেশি তত বেশি উন্নত সম্ভাবনাকে জাগ্রত করে অনেক অ্যাথলেটিক তাদের সবচেয়ে বেশি দক্ষতা দেখে সে যখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিকূলতা ছিল অনেক বেশি সে সময় তাদের অন্তর্নিহিত শক্তি কে সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করেছেন আমি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি এবং অনুশীলন থামাতে চায় তখন ভাবি যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কি করছে যখন দেখি সে অনুশীলনে ব্যস্ত তখন আমি নিজেকে অনুশীলনের ব্যবহৃত করি যখন আমি দেখি এসে অনুশীলন স্নান করছে তখন আমি আর বেশি কিছুটা অনুশীলন করি তার থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এ কথাটি বলেছেন Dan Gable।

কেবলমাত্র লক্ষ্যে পৌঁছানোর সাফল্য না পৌঁছানোর জন্য যে প্রচেষ্টা তাও সাফল্যের অন্তর্ভুক্ত অনেকে হেরে যাওয়ার ভয়ে কখনো চেষ্টা করে না আবার অনেকেই নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত থাকতে পারে না এই ভয়ে যে ওরা এগিয়ে গেলে তারা নিচে নেমে যাবে দুটি দিক থেকে ঝুঁকি আছে যে জাহাজে মহাসমুদ্র যাত্রা করে তাদের ঝরে পড়ার ঝুঁকি আছে কিন্তু যে জাহাজ বন্দরে থাকে সে জাহাজের ধীরে ধীরে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে এটি হচ্ছে জন্য খেলা হারার জন্য খেলা 2 এর মধ্যে তফাৎ জয়ী হওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হলে তাকে যদি নিতেই হবে যেসব মানুষদের জন্য খেলে তারা সংকট এবং চাপের মুখে নিজেদের প্রকাশিত করতে পারে আর যারা না হওয়ার জন্য খেলে তারা জানেনা কিভাবে জিততে হয় জয়ের জন্য যারা খেলে তারা যে বাসররাতে কঠিন প্রস্ততি নিয়ে থাকে যারা নাহার জন্য খেলে তারা চাপ শক্তি ক্ষয় করে তারা কখনোই হতে পারেনা।

তাদের সুপ্ত ক্ষমতা কে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত করতে পারে না তারা হেরে যাবার সম্ভাবনা শক্তি ক্ষয় করে জেতার জন্য তাদের প্রচেষ্টা সং হতো না করে হেরে যাবার দুর্ভাবনায় তাদের শক্তি ক্ষয় করে বিচিত্রা চান নিরাপত্তা চান সুচিত্রা মৃত্যু থেকে জীবনকে বেশি ভয় করেন অসফল হওয়ার দোষের কিছু নয় কিন্তু চেষ্টার অভাব একটি বড় ধরনের বিচিত্র জীবনের সবক্ষেত্রেই হোক না কেন একজন মানুষকে জীবন যাত্রার মান ধর্ষণের প্রতিকার ভদ্র হতে হবে 30 থেকে অঙ্গীকারবদ্ধ জন্মায় উৎকর্ষ বিচারের ক্ষমতা অধীর বিশ্বাস এর মধ্যে তফাৎ আছে।

উৎকর্ষের ভিত্তিতে বেছে নেয়া ঘটনাচক্রের পরবর্তী হতে পারে কিন্তু দীর্ঘ বিশ্বাস অপরিবর্তিত থাকে তা বিপত্তির সম্মুখীন হয়ে যায় কিন্তু দীর্ঘ বিশ্বস্ততার হয় এজন্য আমাদের একটি সম্পূর্ণ মূল্যবোধের চেতনা খুবই পর্যন্ত এর ফলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস করল মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয় এবং এই বিশ্বাস ধীরে ধীরে আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ করে তোলে সাফল্য হওয়ার পিছনে অঙ্গীকারবদ্ধ তা হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

৩.দায়িত্ববোধঃ যে কর্তব্য আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয় তা শেষ পর্যন্ত আনন্দ উৎসব হয় বলেছেন জর্জ গিটার চরিত্রবান লোক এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তারা সিদ্ধান্ত নেন এবং নিজেদের ভাগ্য নিজেই নির্ধারণ করেন দায়িত্ব নেয়ার অর্থ কি এবং এটি অনেক সময় অস্বস্তিকর বেশিরভাগ লোকেই কোন দায়িত্ব না নিয়ে স্বস্তিতে নিরাপদে জীবনযাপন করতে চান তারা লক্ষ্যহীনভাবে জীবনে এগিয়ে চলেন এবং জীবনের ভালো কিছু উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা না করে আপনাআপনি ঘটবে এ জন্য অপেক্ষা করে থাকেন দায়িত্ব নিতে হয় বোকার মতো নয় বিচার-বিবেচনা করে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব নেয়ার অর্থ সমস্ত খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া বা কার্যক্রম তৈরি করা।

দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করে না যে তাদের বাঁচার ব্যবস্থা করে দিতে পৃথিবী দায়বদ্ধ মিতবেনা হয় আপনি সম্পদ ছিল হতে পারবেন না শক্তিমান কে দুর্বল করে আপনি দুর্বলকে শক্তিমান করতে পারবেননা ধনী-দরিদ্র করে দরিদ্রকে ধ্বনি করতে পারবেন না ঋণের টাকায় উন্নত আর্থিক নিরাপদ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবেন না যারা মজুরিতে তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে না মজুরি প্রদান করে তাদের সাহায্য করা যাবে না মানুষের স্বাধীনতা এবং উদ্যোগ নষ্ট করে চরিত্র গঠন করা যাবেনা শ্রেণীবিন্যাস জাগ্রত করে মানুষের ভাতৃত্ববোধের উন্নত করা যাবে না।আয়ের থেকে ব্যয় বেশি করে সংকট এড়ানো যাবে না মানুষ নিজেরা যা করতে পারে বাপ মানুষ করা উচিত তারা তাকে করতে হবে তাকে নিজেকে নিজের দায়িত্ব নিতে হবে একটি কোম্পানির প্রেসিডেন্ট যথাযথ বিদায়ের দিন নতুন প্রেসিডেন্টকে দুটি ধরিয়ে দিয়ে বললেন যখন তোমার সংকটাপন্ন দিন হবে তখন তুমি দেখবে প্রথম সংকটের সময় তুমি একদম ঠিক করবে দ্বিতীয় সংকটের সময় তুমি দুইনাম্বার খুলবে কয়েকবছর পর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট প্রথমবার করলেন এতে লেখা ছিল সংকটের জন্য তোমার পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টের ঘাড়ে দোষ চাপাবে।কয়েক বছর পরে দ্বিতীয় সংকট দেখা দিলে প্রেসিডেন্ট তখন দ্বিতীয় খামটি খুলে নেতা লেখা ছিল পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এর জন্য এরূপ দুটি খাম তৈরি করো তোমার দিন শেষ দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের ভুল ত্রুটি স্বীকার করে নেন এবং দুটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন কোন লোক কখনোই কিছু শেখে না ভুল হলে আমরা তিনটি জিনিস করতে পারি বুলবুলি কে অগ্রাহ্য করতে পারি ভুল অস্বীকার করতে পারি ভুল ভেঙে নিয়ে তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি।ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য সাহস দরকার এর মধ্যে ঝুঁকি থাকে কিন্তু এটি সুফল প্রদত্ত যদি আমরা ভুল স্বীকার না করে তাহলে আমরা কিছুই শিখতে পারবো না যদি শিব জীবনে কিছু করতে হয় অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে দায়িত্ব নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে দায়িত্ব নিলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু সাফল্য হওয়ার জন্য অনেক সম্ভাবনা থাকবে।



Post a Comment

0 Comments