ফরিদপুরে চতুর্থ দিনের মতো কঠোর লকডাউন কর্মসূচি চলছে। লকডাউনের চতুর্থ দিনেও কঠোর অবস্থানে ছিল ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে জেলা সদরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুকসহ বিজিবি, RAB, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্কাউটস ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমন প্রতিরোধ এবং প্রাদূর্ভাব মোকাবেলায় সার্বিক পর্যালোচনা সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, সাংবাদিক প্রবীর কান্তি বালা (পান্না বালা), শেখ মফিজুর রহমান (শিপন), মাহবুব হোসেন পিকুল, এসএম মনিরুজ্জামান, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জুবায়ের, স্কাউট লিডার নাসিম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। এদিকে লকডাউনে অযথা ঘর থেকে বের হওয়ায় প্রশাসন গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনকে ১৭,১০০ টাকা জরিমানা করে। এছাড়া ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশ ৫ টি মোটর সাইকেল আটক করে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের চতুর্থ দিনেও কঠোর অবস্থানে ছিলো পুলিশ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেইনি। যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে শহরের ১২ টি পয়েন্ট চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৯ টি মোবাইল প্যাট্টল টিম আজও কাজ করেছে । পুলিশের পাঁশাপাশি, Rab, সেনাবাহিনী,বিজিবি ও আনসার ভিডিপিও মাঠে রয়েছে।
0 Comments