ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধকল্পে সরকারের দেওয়া কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও ফরিদপুরে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। অযথা ঘর থেকে কেউ বের হলেই তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা। প্রশাসন এসময় ৩৫ জনকে জরিমানা, ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও ১ জনকেে মুঁচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যেগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানকল্পে বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কঠোর বিধি-নিষেধ পালনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ফরিদপুর জেলা সদরে কোতয়ালী থানা ও অন্যান্য ৮টি থানা এলাকায় মোট ১২টি চেকপোস্ট ও ২৯ টি মোবাইল টিম গঠনের মাধ্যমে নিরলসভাবে ফরিদপুর জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি এবং বাংলাদেশ আনসারের সদস্যবৃন্দ মোতায়েন রয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল ৬ টা হতে পালাক্রমে জেলা পুলিশ বিভিন্ন পোস্টে মোতায়েন হয়ে কাজ করছে। মোবাইল টিমে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ রোধকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিংসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে।
সরকারি বিধি-নিষেধ আইন অমান্য করায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ কর্তৃক ৭ জনকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে ১ জনকে মুচঁলেকায় মুক্তি দেয়া হয় এবং অন্য ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ফরিদপুরের সদরপুর থানা এলাকায় ১১ জনকে ৩৭০০ টাকা, চরভদ্রাসন থানা এলাকায় ২ জনকে ৭০০ টাকা, নগরকান্দা থানা এলাকায় ৭ জনকে ১৭৫০ টাকা, সালথা থানা এলাকায় ৫ জনকে ৬০০০ টাকা এবং বোয়ালমারী থানা এলাকায় ১০ জনকে ২৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সর্বমোট ৩৫ জনকে ১৪,৬৫০(চৌদ্দ হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা জরিমানা করা হয়।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কঠোর অবস্থানে ছিলো পুলিশ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছি না। যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে শহরের ১২ টি পয়েন্ট চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া, ১০ জন সদস্যদের সমন্বয়ে এক
0 Comments